, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় সৃষ্ট বন্যায় ফেনী পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরে আজ সকালে খাদ্যসামগ্রী ও সুপেয় পানি পৌছে দিচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,ফেনী জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মুফতি ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নেটওয়ার্কহীন জনপদ! মীরসরাইয়ে রবি টাওয়ার চালুর দাবিতে গণস্বাক্ষর ও প্রতিবাদ সভা শেখ মুজিবসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল ফেনী লাইন বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে ফেনীবাসীর মানববন্ধন ব্যবসায়ীকে ফেনীর সেই যুবকের প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এবার ফেনীতে প্রকাশ্যে এলো ইসলামী ছাত্রীসংস্থা সিগন্যালহীন জনপদ: অচল ৫ হাজারের বেশি টাওয়ার প্রতিকূলতা থেকে সাফল্যের শিখরে: শাহাদাত হোসেন খোকনের জীবন সংগ্রাম

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিল বিএনপি নেত্রীরা

  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ৫৯ পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিল বিএনপি নেত্রীরা

মধুপুর, টাঙ্গাইল – একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সহিংস আচরণের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে মধুপুর উপজেলার আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জব্বার আলীকে বিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয় স্থানীয় বিএনপি মহিলা দলের নেত্রীরা।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে এলাকার একজন কুখ্যাত মাদকসেবীকে মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। প্রধান শিক্ষক জব্বার আলী এ বিষয়ে আপত্তি জানান এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিশুদের স্বার্থে এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দায়িত্ব না দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন।

এই মতপ্রকাশের জেরে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন নারী, যাদের অধিকাংশই বিএনপি মহিলা দলের সক্রিয় নেত্রী ও সমর্থক, বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ফেলে। তাদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে কক্ষ থেকে জোর করে টেনে বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকেও হুমকি প্রদান করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চোরাচালান সংশ্লিষ্ট একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন।

প্রধান শিক্ষক জব্বার আলী বলেন, “আমি শুধু বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার কথা বলেছিলাম। আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে, যা আমার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে অপমানজনক।”

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন বা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। শিক্ষক সংগঠন ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিল বিএনপি নেত্রীরা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিল বিএনপি নেত্রীরা

মধুপুর, টাঙ্গাইল – একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সহিংস আচরণের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে মধুপুর উপজেলার আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জব্বার আলীকে বিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয় স্থানীয় বিএনপি মহিলা দলের নেত্রীরা।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে এলাকার একজন কুখ্যাত মাদকসেবীকে মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। প্রধান শিক্ষক জব্বার আলী এ বিষয়ে আপত্তি জানান এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিশুদের স্বার্থে এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দায়িত্ব না দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন।

এই মতপ্রকাশের জেরে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন নারী, যাদের অধিকাংশই বিএনপি মহিলা দলের সক্রিয় নেত্রী ও সমর্থক, বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ফেলে। তাদের মধ্যে কয়েকজন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে কক্ষ থেকে জোর করে টেনে বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকেও হুমকি প্রদান করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চোরাচালান সংশ্লিষ্ট একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন।

প্রধান শিক্ষক জব্বার আলী বলেন, “আমি শুধু বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার কথা বলেছিলাম। আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে, যা আমার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে অপমানজনক।”

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন বা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। শিক্ষক সংগঠন ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।